Headlines
Loading...
আয়াতুল কুরসীর বিস্ময়কর আমল | Ayatul Kursi Wazifa

আয়াতুল কুরসীর বিস্ময়কর আমল | Ayatul Kursi Wazifa

বার বার আমল করেও যাদের মনের আশা বা ইচ্ছেগুলো পূরণ হচ্ছে না তাদের জন্য এই “আয়াতুল কুরসীর বিস্ময়কর আমল | Ayatul Kursi Wazifa” অত্যন্ত ফলদায়ক হতে পারে। পবিত্র কুরআনে এমন কিছু সুরা এবং আয়াত আছে যেগুলোর শ্রেষ্ঠত্ব ও মাহাত্ম্যের কথা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বিশেষভাবে ইরশাদ করেছেন। এমনই একটি আয়াতের নাম ‘আয়াতুল কুরসি’। আয়াতটিকে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আপনি যদি মনেপ্রাণে দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে আয়াতুল কুরসির আমল করতে পারেন তবে এটি আপনার মনের সমস্ত নেক ইচ্ছাগুলোকে পূরণ করে আপনার জীবনকে সম্পূর্ণরুপে পাল্টে দিবে ইন্শাআল্লাহ।

বুজুর্গানেদ্বীনগণ বলেন, আয়াতুল কুরসি’তে মোট ১৮টি ইসমে আজম রয়েছে। অথচ কোন একজন মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য একটি ইসমে আজমই যথেষ্ট। তাই “আয়াতুল কুরসি” পাঠের আমলে যদি কোন অসম্ভব কাজ সহজে সম্পন্ন হয়ে যায় তবে এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছুই নেই। 

আয়াতুল কুরসী আমল করার কিছু শর্তঃ

১। শুধুমাত্র রাতের বেলা একা যখন আপনাকে কেউ বিরক্ত করবে না তখন এই আমল করতে হবে।
২। একনাগাড়ে ৭ দিন একই সময়ে এই আমল করতে হবে। ৫ মিনিটের বেশী হেরফের উচিত নহে।
৩। একটি পাত্রে সামান্য চাউল, গম, বা একটি রুটির ছোট ছোট টুকরা করে রাখতে হবে।
৪। আমলকালীন সময়ে জায়নামাজ থেকে উঠা যাবে না। পানি পিপাসার সমস্যা থাকলে আগে থেকেই হাতের কাছে পানির জগ এবং গ্লাস রেখে দিবেন। 

আমলের নিয়মঃ

প্রথমে ২ রাকাত নফল সালাতুল হাজত নামাজ পড়ে নিন। এই নামাজের জন্য নির্দিষ্ট কোন সুরা নেই। প্রতি রাকাতে সুরা ফাতিহার পর যে কোন সুরা দিয়ে আপনি নামাজ পড়তে পারেন। নামাজ শেষ করে আপনার সামনে চাউল, গম, বা রুটির পাত্রটি রাখুন।

জায়নামাজে বসা অবস্থায় প্রথমে ১ বার যে কোন দরুদ শরীফ পাঠ করে নিন। 

এবার প্রতিবার বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম (﷽ ) পাঠ করে ২১ বার “আয়াতুল কুরসি” পাঠ করুন। আয়াতুল কুরসি পাঠ শেষে আবারও ১ বার দরুদ শরীফ পাঠ করুন এবং আপনার সামনে থাকা পাত্রটি বামে/ডানে সরিয়ে রাখুন। এবার বসা অবস্থা থেকে দাঁড়িয়ে যান এবং পুনরায় ২ রাকাত নফল সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ত করুন এবং নামাজ শেষে উপরোক্ত প্রতিটি ধাপ অনুসরণ করুন। এইভাবে দুই দুই রাকাত করে মোট ৬ রাকাত সালাতুল হাজত নামাজ পড়ে নিবেন এবং ৬৩ বার “আয়াতুল করসি” পাঠ করবেন। আপনার নামাজ এবং আমল শেষ হয়ে গেলে আল্লাহর কাছে আপনার মনের যাবতীয় আশা পূরণের জন্য দোয়া করতে থাকুন। দোয়া শেষে পাত্রের মধ্যে রাখা চাল, গম কিংবা রুটির টুকরায় কোন ফুঁক বা দম করবেন না। পরের দিন সকাল বেলা এগুলো কোন পাখি বা পোকা-মাকড়কে খেতে দিন।

এইভাবে একনাগাড়ে মোট ৭ দিন আমল করুন। তবে অষ্টম দিনে আপনার বাড়িতে কোন মিষ্টান্ন জিনিস যেমন, ক্ষির, পায়েশ তৈরী করুন এবং নিজেরা খান এবং আশেপাশের মানুষকে খেতে দিন। এটিই এই আমলের নিয়ম। আপনার হাজত যদি ৭ দিনের আগেই পূরণ হয়ে যায় তবে পরবর্তি দিনে আপনার বাড়িতে কোন মিষ্টান্ন জিনিস যেমন, ক্ষির, পায়েশ তৈরী করুন এবং নিজেরা খান এবং আশেপাশের মানুষকে খেতে দিন। ধরুন, আপনার হাজত তৃতীয় দিনেই পূরণ হয়ে গেছে তাহলে চতুর্থ দিন আপনার বাড়িতে কোন মিষ্টান্ন জিনিস যেমন, ক্ষির, পায়েশ তৈরী করুন এবং নিজেরা খান এবং আশেপাশের মানুষকে খেতে দিন। আর আপনার আমল যদি ৭ দিনের পরেও পূরণ না হয় তবে সপ্তম দিনের পর আর আমলটি করবেন না। একদিন বা কয়েকদিন বাদ দিয়ে আবারও সাত দিনের জন্য আমল করতে পারেন। তবে একনাগাড়ে ৭ দিনের বেশী এই আমল করা যাবে না। 

দয়াময় আল্লাহ আপনার মনের যাবতীয় আশাগুলোকে পূরণ করে দিন। আমীন। সুম্মা আমীন।

আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণঃ

আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কাইয়ুম। লা তা-খুযুহু সিনাতু ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিস-সামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল-আরদ। মান যাল্লাযি ইয়াশ ফাউ ইনদাহু ইল্লা বি ইযনিহি, ইয়া’লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খালফাহুম ওয়ালা ইউহিতুনা বিশাইইম-মিন ইলমিহি ইল্লা বিমা শা আ, ওয়াসিয়া কুরসিইউহুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ, ওয়ালা ইয়াউদুহু হিফজুহুমা ওয়াহুয়াল আলিইয়ুল আজিম।

আয়াতুল কুরসি বাংলা অর্থঃ আল্লাহ! তিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। তিনি স্বাধীন ও নিত্য নতুন ধারক, সব কিছুর ধারক। তন্দ্রা ও নিদ্রা তাঁকে স্পর্শ করে না। নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলে যা কিছু রয়েছে সবই তাঁর। কে আছে এমন, যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর কাছে সুপারিশ করতে পারে? সম্মুখের অথবা পশ্চাতের সবই তিনি অবগত আছেন। একমাত্র তিনি যতটুকু ইচ্ছা করেন তা ছাড়া, তাঁর জ্ঞানের কিছুই তারা আয়ত্ত করতে পারে না। তাঁর আসন আসমান ও জমিন ব্যাপী হয়ে আছে এবং উভয়ের সংরক্ষণে তাঁকে বিব্রত হতে হয় না। তিনিই সর্বোচ্চ, মহীয়ান।

আয়াতুল কুরসি আরবী উচ্চারণঃ

اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلاَ نَوْمٌ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَاءَ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاواتِ وَالأَرْضَ وَلاَ يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ

0 Comments: