Headlines
Loading...
Surah Maun Bangla Uccharon | সূরা মাউন বাংলা উচ্চারণ এবং অর্থ

Surah Maun Bangla Uccharon | সূরা মাউন বাংলা উচ্চারণ এবং অর্থ

بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
Bismillah hir rahman nir raheem
In the name of Allah, the Entirely Merciful, the Especially Merciful.

أَرَءَيۡتَ ٱلَّذِي يُكَذِّبُ بِٱلدِّينِ
Ara ‘aytal lazee yukazzibu biddeen
Have you seen the one who denies the Recompense?
উচ্চারণঃ আরাআইতাল্লাযী ইউকাযযি বুবিদ্দীন। Surah Maun
অর্থঃ আপনি কি দেখেছেন তাকে, যে বিচারদিবসকে মিথ্যা বলে?

فَذَٰلِكَ ٱلَّذِي يَدُعُّ ٱلۡيَتِيمَ
Fazaalikal lazee yadu’ul-yateem
For that is the one who drives away the orphan
উচ্চারণঃ ফাযা-লিকাল্লাযী ইয়াদুউল ইয়াতীম।
অর্থঃ সে সেই ব্যক্তি, যে এতীমকে গলা ধাক্কা দেয়

وَلَا يَحُضُّ عَلَىٰ طَعَامِ ٱلۡمِسۡكِينِ
Wa la yahuddu ‘alaa ta’aamil miskeen
And does not encourage the feeding of the poor.
উচ্চারণঃ ওয়ালা-ইয়াহুদ্দু‘আলা-তা‘আ-মিল মিছকীন।
অর্থঃ এবং মিসকীনকে অন্ন দিতে উৎসাহিত করে না।

فَوَيۡلٞ لِّلۡمُصَلِّينَ
Fa wailul-lil musalleen
So woe to those who pray
উচ্চারণঃ ফাওয়াইঁলুলিলল মুসাল্লীন।
অর্থঃ অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাযীর।

ٱلَّذِينَ هُمۡ عَن صَلَاتِهِمۡ سَاهُونَ
Allazeena hum ‘an salaatihim saahoon
[But] who are heedless of their prayer
উচ্চারণঃ আল্লাযীনাহুম ‘আন সালা-তিহিমি ছা-হূন।
অর্থঃ যারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে-খবর।

ٱلَّذِينَ هُمۡ يُرَآءُونَ
Allazeena hum yuraaa’oon
Those who make show [of their deeds]
উচ্চারণঃ আল্লাযীনা হুম ইউরাঊনা।
অর্থঃ যারা তা লোক-দেখানোর জন্য করে।

وَيَمۡنَعُونَ ٱلۡمَاعُونَ
Wa yamna’oonal maa’oon
And withhold [simple] assistance.
উচ্চারণঃ ওয়া ইয়ামনা‘ঊনাল মা-‘ঊন।
অর্থঃ এবং নিত্য ব্যবহার্য্য বস্তু অন্যকে দেয় না।

সূরা মাউন এর পরিচিতিঃ

সূরা মাউন পবিত্র কোরআনের ১০৭ তম সূরা। এ সূরাটি পবিত্র কোরআনের ৩০ পারায় অবস্থিত। এর আয়াত সংখ্যা ৭, রুকু সংখ্যা ১ এবং এটি মাক্কী সূরার অন্তর্গত একটি সূরা। অর্থাৎ এটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এ সূরায় মুনাফিক ও কাফেরদের কতিপয় দুষ্কর্ম এবং যারা তাদের নামাজে বেখেয়াল বা গাফলতি করে ও লোক দেখানো নামাজ পড়ে তাদের ধ্বংসের বার্তা শুনানো হয়েছে।

বিষয়বস্তু ও মূল বক্তব্যঃ

আখেরাতের প্রতি ঈমান না আনলে মানুষের মধ্যে কোন ধরনের নৈতিকতা জন্ম নেয় তা বর্ণনা করাই এর মূল বিষয়বস্তু। ২ ও ৩ আয়াতে এমনসব কাফেরদের অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে যারা প্রকাশ্যে আখেরাতকে মিথ্যা বলে। আর শেষ চার আয়াতে যেসব মুনাফিক আপাতদৃষ্টিতে মুসলমান মনে হয় কিন্তু যাদের মনে আখেরাত এবং তার শাস্তি ও পুরস্কার ও পাপ পূর্ণের কোন ধারণা নেই, তাদের অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে। আখেরাত বিশ্বাস ছাড়া মানুষের মধ্যে একটি মজবুত শক্তিশালী ও পবিত্র পরিচ্ছন্ন চরিত্র গড়ে তোলা কোন ক্রমেই সম্ভবপর নয়, এ সত্যটি মানুষের হৃদয়পটে অংকিত করে দেয়াই হচ্ছে সামগ্রিকভাবে উভয় ধরনের দলের কার্যধারা বর্ণনা করার মূল উদ্দেশ্য।

সূরা আল মাউন পাঠের ফজিলত সমূহঃ

একজন ব্যক্তির পরকালে বিশ্বাস না হলে তার মধ্যে কোন ধরনের নৈতিকতার জন্ম হয় তা বর্ণনা করাই এর মূল বিষয়। এখানে ২ এবং ৩ নং আয়াতে কাফেরদের অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে যারা পরকালকে প্রকাশ্যে অস্বীকার করে।

এই সুরার শেষের চারটি আয়াতে মুনাফিকদের অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে যাদের মুসলমান বলে মনে হয় কিন্তু তাদের পরকাল, এর শাস্তি এবং পুরস্কার ও পাপের পূর্ণতা সম্পর্কে কোন ধারণা নেই। পরকালে বিশ্বাস ছাড়া মানুষের মধ্যে শক্তিশালী ও পবিত্র চরিত্র গড়ে তোলা কোন ভাবেই সম্ভব নয়।

পাপকাজ সমাজকে অন্ধকারে নামিয়ে আনে। পাপকাজের প্রচার ও প্রসার মানুষের ঈমানকে দূর্বল করে দেয়। মানুষকে নির্লজ্জায় নামিয়ে দেয়। ইসলামে সকল ধরনের অশ্লীলতাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘বলে দাও, আমার পালনকর্তা হারাম করেছেন সকল প্রকাশ্য ও গোপনীয় অশ্লীলতাকে, আর পাপ ও অসংগত বিরোধিতা এবং কোনো কিছুকে আল্লাহর সঙ্গে শরিক করাকে, যার কোনো সনদ তিনি পাঠাননি। আর আল্লাহ সম্পর্কে এমন কিছু বলা, যা তোমরা জানো না।’ (সুরা আরাফ, আয়াত ৩৩)।

0 Comments: