Headlines
Loading...
Amal For Wealth | রিজিক লাভের ৩ আমল

Amal For Wealth | রিজিক লাভের ৩ আমল

বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষ রাতারাতি ধনী হবার লোভে মেতে উঠেছে। কিছু মানুষ এমনও আছে যে, টাকা—পয়সার জন্য নিজের ঈমানটুকু পর্যন্ত বেচে দিতে চায়। কিন্তু আমাদের সকলেরই মনে রাখা উচিৎ যে, রিজিক, টাকা—পয়সা, অর্থ বা সম্পদ দেয়ার মালিক একজনই আর তিনি হলেন আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ। আপনি রাত—দিন হাজারো চেষ্টা করুন না কেন আল্লাহ না চাইলে আপনি কখনও টাকা—পয়সা বা ধন—সম্পদ অর্জন করতে পারবেন না। তাই অর্থ লাভের আশায় ঈমান চলে যায় এমন কোন কাজই আমাদের করা উচিৎ নয়। মুসলমান হিসাবে আমাদের যদি ঈমান না থাকে তাহলে আখিরাত বরবাদ হয়ে যাবে আর যার ফলাফল হবে অনন্তকাল শাস্তি ভোগের জায়গা জাহান্নাম। 

আল্লাহ তাআলা তাঁর সৃষ্টির প্রতি সদা মেহেরবান। আপনি আপনার সন্তানকে যতটুকু ভালোবাসেন তার চাইতে ৭০গুণ ভালোবাসেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা। তাই আমাদের যে কোন প্রয়োজনের কথা সৃষ্টিকতার্র কাছেই পেশ করা উচিৎ। আপনার চাওয়া যদি আপনার জন্য মঙ্গলজনক হয় তবে দয়াময় আল্লাহ তাআলা অবশ্যই আপনাকে তা দান করবেন। খোদার রহমতের ভান্ডার এত বিশাল যে আমাদের সামান্য জ্ঞানে সেটার তুলনা করা সম্ভব নয়। 

এটা সত্য যে, বর্মমান সময়ে অর্থ আয় করা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। আর তাই সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রতিনিয়ত দোয়ার মাধ্যমে আমাদের রিজিক বা দৌলত তালাশ করা উচিৎ। আজ আপনাদের ৩টি আমলের বিষয়ে জানাবো যার মাধ্যমে আল্লাহ চাহে তো আপনি অধিক রিজিক তথা ধন—দৌলত লাভ করতে পারবেন। মনে রাখবেন, আপনি যদি খোদার প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসী না হয়ে থাকেন তবে শত আমল করেও কোন লাভ হবে না। যে ব্যক্তি তার খোদার প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাকেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা তার প্রতি মেহেরবান হয়ে থাকেন। আসুন এবারে আমলগুলো জেনে নেই।

১ম আমলঃ 

এই আমল শুধুমাত্র এশা’র নামাজের পরই করতে হবে, অন্য কোন সময়ে নয়। এই আমল করার জন্য পাক পবিত্র হয়ে খোলা আকাশের নীচে অবস্থান করতে হবে এবং দাঁড়িয়ে আমল করতে হবে। আপনার মাথায় টুপি রাখা যাবে না এবং পায়ে স্যান্ডেল বা জুতা পরা যাবে না। যদি কোন মা—বোন এই আমল করতে চান তবে আপনার মাথায় কাপড় বা ওড়না জাতীয় কিছু রাখা যাবে না।

আমল শুরু করার জন্য আপনি কাবা শরীফের দিকে মুখ করে ১১ বার যে কোন দরুদশরীফ পাঠ করুন।  তারপর, শুরুতে একবার বিসমিল্লাহহির রহমানির রহিম পাঠ করে আকাশের দিকে মুখ করে “ইয়া মুসাব্বিবাল আসবাব” ৫০০ বার জিকির করুন। তারপর, আবারও ১১ বার দরুদশরীফ পাঠ করুন।  এরপর বিসমিল্লাহহির রহমানির রহিম পাঠ করে ১ বার “আল্লাহুম্মাক ফিনি বিহালালিকা আন হারমিকা ওয়া আগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক” পাঠ করুন এবং আল্লাহর কাছে আপনার যাবতীয় অভাব পূরণের জন্য দোয়া করুন। উপরোক্ত নিয়মে কিছুদিন এই আমল করতে থাকুন। যখন আপনার ঘরে রিজিক আসা শুরু করবে তখন এই আমল বন্ধ করে দিবেন। বেশী লোভ করবেন না। কারণ অধিক দৌলত লোভে আপনি ঈমান হারা হতে পারেন।

২য় আমলঃ 

এই আমল ঘরে বা মসজিদে যে কোন জায়গায় করা যাবে। এশা’র নামাজের পর পরই এই আমল করতে হবে। প্রথমে ৩ বার যে কোন দরুদশরীফ পাঠ করুন। তারপর, ১ বার ‘সুরা জুমা’ তেলাওয়াত করুন। আবারও ৩ বার দরুদশরীফ পাঠ করুন। এই আমল আপনাকে প্রতিদিন করতে হবে। এই আমল নিশ্চিত আপনাকে ধনী বানাবে। আপনি যদি চাকুরীর খোঁজে থাকেন, তবে চাকুরী পাবেন। ব্যবসায়ী হলে, আপনার ব্যবসায়ে উন্নতি হতে শুরু করবে। 

৩য় আমলঃ 

এই আমল আপনাকে এশা’র নামাজের পর এবং বিতরের নামাজের পূর্বে করতে হবে। এই আমলের শুরুতে ১১ বার যে কোন দরুদশরীফ পাঠ করুন। তারপর, শুরুতে ১বার বিসমিল্লাহহির রহমানির রহিম পাঠ করে আল্লাহ তাআলার একটি গুণবাচক নাম ‘ইয়া ওয়াহাবু’ ১০০০ বার জিকির করতে হবে। শেষে আবারও ১১ বার দরুদশরীফ পাঠ করুন। 

এবার ৩ রাকাত বিতির নামাজ এবং ২ রাকাত নফল নামাজ পড়ে নিন এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করুন। এই আমল আপনাকে খুব তাড়াতাড়ি ধনী বানিয়ে দিবে ইনশাআল্লাহ। এটি সেই আমল যা হযরত সুলায়মান (আঃ) করতেন এবং এই আমলের বরকতে আল্লাহ তাআলা তাকে দুনিয়ার বাদশাহী দান করেছিলেন। 

উপরোক্ত তিনটি আমলের মধ্য থেকে আপনার কাছে যেটি সহজ এবং সঠিক মনে হয় সেটির আমল আজ হতেই শুরু করে দিন। এই আমল আপনাকে চিরদিনের জন্য অভাবমুক্ত রাখবে ইনশাআল্লাহ। তবে আমল করেই আপনি ঘরে বসে থাকবেন বিষয়টি কিন্তু তেমন নয়। আপনি যা কিছুর জন্য চেষ্টা করছেন সেটা চালিয়ে যান। আপনি যদি চাকুরী কিংবা ব্যবসার চিন্তা করে থাকেন তবে সেটাই করুন। আল্লাহ তাআলা আপনাকে এর মধ্যেই বরকত দান করবেন। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে উপরোক্ত আমলগুলো করার তৌফিক দান করুন। আমীন।

0 Comments: