Headlines
Loading...
The Benefits of Reciting Surah Fatiha 41 Times | সুরা ফাতিহা ৪১ বার পাঠের কারিশমা

The Benefits of Reciting Surah Fatiha 41 Times | সুরা ফাতিহা ৪১ বার পাঠের কারিশমা

সুরা ফাতিহা” পবিত্র কোরআনের প্রথম অধ্যায়। সারা বিশ্বের মুসলমানরা তাদের প্রতিদিনের, প্রতি ওয়াক্তের, প্রতি রাকাতের নামাজের শুরুতেই এই সুরা পাঠ করে থাকে। এই সুরা পাঠের অসংখ্য উপকারিতা আছে। এখানে সংক্ষিপ্ত আকারে কিছু উপকারিতা তুলে ধরা হলো।

আল্লাহর সাথে সংযোগঃ নামাজের সময় সূরা ফাতিহা পাঠ করা আল্লাহর সাথে সরাসরি সংযোগ স্থাপনে সহায়তা করে। এটি সৃষ্টিকর্তার সাথে যোগাযোগ করার এবং তাঁর নির্দেশনা, করুণা এবং আশীর্বাদ খোঁজার একটি উপায় হিসাবে কাজ করে।

প্রশংসা এবং কৃতজ্ঞতাঃ সূরাটি সমস্ত বিশ্বের পালনকর্তা হিসাবে আল্লাহর প্রশংসা করে শুরু হয়েছে। এটি পাঠ করার মাধ্যমে, মুসলমানরা আল্লাহর মহত্ত্ব স্বীকার করে এবং তাঁর অগণিত নেয়ামত এবং প্রদত্ত রিযিকের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।

নির্দেশনা চাওয়াঃ সূরা ফাতিহায়, মুমিনরা আল্লাহর কাছে তাদের সরল পথের (সিরাত আল-মুস্তাকিম) নির্দেশনা চান। এটি জীবনের চ্যালেঞ্জগুলি নেভিগেট করার এবং ধার্মিক বাছাই করার ক্ষেত্রে ঐশ্বরিক দিকনির্দেশনা এবং জ্ঞানের সন্ধানের ইঙ্গিত দেয়।

ক্ষমা ও করুণাঃ আয়াত "আমাদেরকে সরল পথ দেখাও, তাদের পথ যাদেরকে তুমি অনুগ্রহ করেছ, তাদের নয় যারা [আপনার] ক্রোধ জাগিয়েছে বা যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে" ক্ষমা এবং আল্লাহর করুণা চাওয়ার ওপর জোর দেয়। এই আয়াতটি পাঠ করা অনুতাপ এবং নিজের পাপের জন্য ক্ষমা চাওয়ার প্রয়োজনীয়তার অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে।

আধ্যাত্মিক প্রতিফলনঃ সূরা ফাতিহার তেলাওয়াত বিশ্বাসীদেরকে কুরআনের অর্থ ও শিক্ষার প্রতি চিন্তা করতে দেয়। এটি আত্মদর্শন, আত্ম-সচেতনতা এবং আল্লাহর সাথে একজনের সম্পর্কের গভীর উপলব্ধিকে উৎসাহিত করে।

ঐক্য ও সম্প্রদায়ঃ যেহেতু প্রতিদিনের নামাজের প্রতিটি ইউনিটে সূরা ফাতিহা পাঠ করা হয়, তাই এটি বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য ও সংযোগের অনুভূতি তৈরি করে। এটি একটি ঐক্যবদ্ধ থ্রেড হিসাবে কাজ করে যা বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়কে উপাসনায় একত্রিত করে।

বিশ্বাসকে মজবুত করেঃ নিয়মিত সূরা ফাতিহা পাঠ ইসলামের মৌলিক নীতির প্রতি বিশ্বাস ও বিশ্বাসকে শক্তিশালী করে। এটা বিশ্বাসীদের আল্লাহর উপর তাদের নির্ভরতা এবং পথনির্দেশ ও সমর্থনের চূড়ান্ত উৎস হিসেবে তাঁর ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

ধৈর্য ও অধ্যবসায়ঃ সঠিক পথে থাকার জন্য এবং বিপথগামীদের পথ এড়িয়ে চলার জন্য আল্লাহর সাহায্য চাওয়ার উপর সূরার জোর মুমিনদেরকে তাদের বিশ্বাসে ধৈর্য ও অবিচল থাকতে উৎসাহিত করে, এমনকি অসুবিধা ও চ্যালেঞ্জের মধ্যেও।

অভ্যন্তরীণ শান্তি এবং প্রশান্তিঃ নামাজের সময় সূরা ফাতিহা পাঠ করা অভ্যন্তরীণ শান্তি, প্রশান্তি এবং মননশীলতার অনুভূতি আনতে পারে। এটি মুসলমানদেরকে মুহূর্তের জন্য পার্থিব উদ্বেগ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে এবং তাদের হৃদয় ও মনকে আল্লাহর স্মরণে নিবদ্ধ করতে দেয়।

সওয়াব ও আশীর্বাদঃ মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে সূরা ফাতিহা পাঠ সহ প্রতিটি ইবাদত আল্লাহর দ্বারা পুরস্কৃত হয়। মোটকথা, সূরা ফাতিহা পড়া একটি আধ্যাত্মিকভাবে সমৃদ্ধ করার অভ্যাস যা মুসলমানদের জন্য অনেক উপকার করে, তাদেরকে আল্লাহর সাথে সংযোগ স্থাপন করতে, নির্দেশনা খুঁজতে, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে এবং তাদের বিশ্বাসের গভীর উপলব্ধি গড়ে তুলতে সাহায্য করে।

সুরা ফাতিহার আমলঃ 

যদি কোন ব্যক্তি ফজর ওয়াক্তের সুন্নাত ও ফরজ নামাজের মধ্যবর্তি সময়ে “সুরা ফাতিহা” ৪১ বার পাঠ করে তবে তার রিজিকের দরজা, সফলতার দরজা, সমস্ত বিপদ-আপদ থেকে মুক্তির দরজা খুলে যায়। বিষয়টি এমন যেন একটি লক করা তালা হঠাৎ করে খুলে যাওয়ার মতো। এই সুরা ৪১ বার পাঠ করে পানিতে দম করে সেই পানি যদি কোন অসুস্থ রোগীকে পান করানো হয় তবে ঐ ব্যক্তি খোদার রহমতে আরোগ্য লাভ করেন। 

যদি কোন ব্যক্তি প্রতিদিন শুধুমাত্র “গা’ইরিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালাদ্দোলিন” ৪১ বার অথবা ১০০ বার পাঠ করে আল্লাহ তাআলার কাছে এই বলে দোয়া করে যে, হে আল্লাহ! আমাকে গুমরাহি পথ থেকে হেফাজত করো তবে আল্লাহ তাআলা তাকে এবং তার সন্তানকে গুমরাহির পথ থেকে বাঁচিয়ে রাখেন এবং হেদায়েতের পথে পরিচালিত করেন। 

দয়াময় আল্লাহ আমাদের এবং আমাদের সন্তানদের নাজাতের পথে, হেদায়েতের পথে পরিচালিত করুন। আমীন। 

0 Comments: