Headlines
Loading...
Surah Yasin Wazifa | সূরা ইয়াসিন ৭ মুবীনের শক্তিশালী ওজিফা

Surah Yasin Wazifa | সূরা ইয়াসিন ৭ মুবীনের শক্তিশালী ওজিফা

সুরা ইয়াসিনকে পবিত্র কোরআনের হৃদপিন্ড বলা হয়। সুরা ইয়াসিন পাঠের অসংখ্য ফজিলত রয়েছে। আপনি যদি খুর দ্রুত আল্লাহর গায়েবী সাহায্য পেতে চান তা’হলে সুরা ইয়াসিনের এই আমল করতে পারেন। এই আমল খুবই শক্তিশালী আমল। তাই সাধারণ কোন হাজত পূরণের জন্য এই আমল করা ঠিক হবে না। বরং যা কিছু অসম্ভব তা পূরণের জন্য এর আমল করুন। আপনি যদি কোন মুজেজা দেখতে চান তা’হলে অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে এই আমল শুরু করে দিন। ইনশাআল্লাহ খুব দ্রুতই ফলাফল লাভ করবেন।

এই আমল করার জন্য বেশ কিছুটা সময়ের প্রয়োজন হবে। তাই ফজরের নামাজের পর কিংবা যোহরের নামাজের পর এই আমল করুন। এই আমল করার জন্য আপনি আলাদা একটা রুম বেছে নিন যেখানে কেউ আপনাকে বিরক্ত করবে না। আপনার আমল করার জায়গায় এক জগ পানি আর একটা গ্লাস রেখে দিন। হয়তো আমল কালীন সময়ে আপনার গলা শুকিয়ে যেতে পারে আর আপনি সহজেই পানি পান করে নিতে পারেন। 

আপনাকে এই আমল একনাগাড়ে ৭ দিন করতে হবে। এই আমল এমন একটি আমল যা অবশ্যই পূরণ হয়। যদি ভিন্ন ভিন্ন হাজত নিয়ে ১০০ জন এই আমল শুরু করে তবে হয়তো কোন একজন বদনসিবেরই হাজত পূরণ হবে না। অর্থ্যাৎ এই আমল করে কেউয়ি ব্যর্থ হয় না। 

আমল করার নিয়মঃ

আপনি প্রথমে অজু করে নিন। তারপর কাবা শরীফের দিকে মুখ করে বসুন। আপনি যে হাজত পূরণ হবার জন্য এই আমল করছেন সেই হাজতের কথা মনে করে নিন এবং ৭ বার যে কোন দরুদশরীফ পাঠ করে নিন। এরপর কোরআন শরীফ দেখে কিংবা মুখস্ত যেটাই হোক না কেন তা বিসমিল্লাহহির রহমানির রহিম ১ বার পাঠ করে সূরা ইয়াসিন পাঠ করা শুরু করে দিন।

সুরা ইয়াসিন-এ মোট ৭টি মুবিন আছে। অর্থ্যাৎ সুরা ইয়াসিন পাঠ শুরু করার পর প্রথমবার যেখানে “মুবিন” শব্দটি পাবেন, সেখানে থেমে যাবেন এবং বিসমিল্লাহহির রহমানির রহিম ১ বার পাঠ করে ১০০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করুন।

এরপর আবারও সুরা ইয়াসিন পাঠ শুরু করুন। আবারও যখন “মুবিন” শব্দটি পাবেন, সেখানে থেমে যাবেন এবং বিসমিল্লাহহির রহমানির রহিম ১ বার পাঠ করে ১০০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করুন। এই নিয়মে তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ এবং সপ্তম মুবিন পর্যন্ত ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন। খেয়াল রাখবেন, এই আমলে আপনি সুরা ইয়াসিন শুধু ১বারই পাঠ করবেন আর সুরা ইখলাস মোট ৭০০ বার পাঠ করবেন।

আপনার আমল শেষ হয়ে গেলে আবারও ৭ বার যে কোন দরুদশরীফ পাঠ করে নিন এবং আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে দোয়া করুন। আপনার প্রথম দিনের আমল শেষ হলো। এইভাবে মোট ৭দিন এই আমল করুন। যদি ৭ দিনের আগেই আপনার হাজত পূর্ণ হয়ে যায় তা’হলে আর আমল চালিয়ে যাওয়ার দরকার নেই। পরিবর্তে আপনি ২ রাকাআত শোকরানা নামাজ আদায় করে নিন।

অনেকেই আছেন যারা রেফারেন্স জানতে চান। তাদের উদ্দেশ্যে শুধু এতটুকু বলবো, খোদার অনেক নেক বান্দা আছেন যারা এই আমলগুলো নিয়মিত করতেন এবং ভালো ফলাফল লাভের কারনেই অন্যদের সেটা জানিয়ে দিয়েছেন যাতে করে তারা লাভবান হয়। আপনি যদি খোদার প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসী হয়ে থাকেন, তবেই আমল করুন। কারণ দৃঢ় বিশ্বাসী না হলে কোন আমলই কবুল হবার সম্ভাবনা নেই। কারণ উদাস মনের কোন দোয়াই আল্লাহ কবুল করেন না।

আল্লাহর কাছে যখন কোন কিছু চাইবেন তখন ভিখারীর মতো চাইবেন। অন্তরে এই বিশ্বাস রাখবেন যে, আল্লাহ আপনার দোয়া, মোনাজাত, সবকিছুই কবুল করবেন। তবে কখন কবুল হবে সেটা আপনি জানেন না। দোয়া যদি দিল থেকে, মন থেকে না হয় তবে তা আল্লাহর দরবারে কবুল হওয়ার ব্যপারে সন্দেহ থাকে। তাই আপনার দোয়া হতে হবে হৃদয় থেকে, ঠিক আমাদের প্রিয় নবীর মতো। যে দোয়ায় থাকবে কাকুতি-মিনতি, হৃদয়ের হাহাকার। সূরা ইয়াসীন তার পাঠকারীকে ইহকাল ও পরকালে শান্তি ও ব্যাপক কল্যাণ এনে দেয়। যারা সুরা ইয়াসিনের আমল করবেন বা করার পরিকল্পনা করছেন, তাদের সকলের দোয়া বা হাজতগুলো দয়াময় আল্লাহ কবুল করুন। আমীন।

0 Comments: