Headlines
Loading...
Surah Ikhlas Wazifa | সুরা ইখলাসের ওজিফা | Powerful Wazifa

Surah Ikhlas Wazifa | সুরা ইখলাসের ওজিফা | Powerful Wazifa

ইখলাস শব্দের অর্থ নিরেট (খাঁটি) বিশ্বাস। যে বিশ্বাসে কোন রকম খাদ থাকবে না। এক আল্লাহর উপর খাঁটি বিশ্বাসী হওয়াকে ইখলাস বলা হয়। এটি পবিত্র কুরআনের ১১২তম সুরা। এ সুরার মোট আয়াত সংখ্যা চারটি। এ সুরাটিতে মহান আল্লাহ তাআলার পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। 

সুরাটি নাজিলের কারণঃ

হযরত আনাস রদিয়ল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা খায়বার নামক এলাকার কয়েকজন ইয়াহুদি রসুলুল্লাহ (সাঃ) দরবারে এসে বলল, হে আবুল কাসেম! আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদের নূর থেকে, আদমকে মাটি থেকে, আসমানকে ধূঁয়া থেকে এবং পৃথিবীকে পাািনর ফেনা থেকে সৃষ্টি করেছেন। এখন আপনার রব সম্পর্কে আমাদের কিছু জানান, তিনি কোন বস্তু হতে সৃষ্টি? তিনি কি সোনার তৈরী নাকি লোহার তৈরী? তিনি কি খাওয়া দাওয়া করেন? তিনি কার ওয়ারিশ এবং তারপর তাঁর ওয়ারিশ কে হবেন? ঐ মুহুর্তে রসুলুল্লাহ (সাঃ) কোন জবাব দেননি। কিন্তু তাদের উত্তর দিতে হযরত জিব্রাইল আলাইহিস সালাম সুরা ইখলাস নিয়ে হাজির হন। এ সুরার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, আল্লাহ তাআলার নিজের পরিচয় তাঁর হাবিবকে দিতে বলেছেন। 

قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ

اللَّهُ الصَّمَدُ

لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ

وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ

সুরা ইখলাসের অর্থঃ

বলুন, তিনি আল্লাহ এক। 
তিনি অমুখাপেক্ষী।
তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাঁকে জন্ম দেয়নি।
তাঁর সমতুল্য কেউ নেই।

সুরা ইখলাসের চারটি আয়াতে চারটি বিষয়ের আলোচনা করা হয়েছে। 
প্রথম আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ এক ও অনন্য।
দ্বিতীয় আয়াতে বলা হয়েছে, তিনি অমুখাপেক্ষী।
তৃতীয় আয়াতে বলা হয়েছে, জন্মের সাথে তাঁর কোন সম্পর্ক নেই।
চতুর্থ আয়াতে বলা হয়েছে, অতুলনীয়। এই চারটি আয়াতের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো, তাওহিদ বা আল্লাহর একত্ববাদ।


সুরা ইখলাস পাঠের ফজিলতঃ

জান্নাত লাভঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে ব্যক্তি দশবার সূরা ইখলাস পাঠ করবে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করবেন । একদা এক সাহাবী দ রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে এসে বলেন, হে আল্লাহর রসুল! আমি সুরা ইখলাসকে অনেক ভালোবাসি। রসুলুল্লাহ (সাঃ) তখন বলেন, সুরা ইখলাসের প্রতি তোমার এই ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে। সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭৭৪, তিরমিজি শরীফ হাদীস নং ২৯০১। 

গুনাহ মাফঃ মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন ২০০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করবে তার ৫০ বছরের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। তিরমিজি শরীফ হাদীস নং ২৮৯৮।

দারিদ্রতা দূরঃ সাহল ইবনে সাদ সায়েদী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রসুল (সাঃ) এর কাছে দারিদ্রের অভিযোগ করলেন। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তাকে বললেন, যখন তুমি তোমার ঘরে প্রবেশ করবে তখন সালাম দেবে এবং একবার সুরা ইখলাস পাঠ করবে। এ আমল করার ফলে কিছু দিনের মধ্যে তার দারিদ্রতা দূর হয়ে যায়। করতুবি ২০/১৮৫। 

সুরা ইখলাসের আমলঃ 

সুরা ইখলাসের আমল অত্যন্ত শক্তিশালী আমল। এই আমলের গায়েবী শক্তির অনুমান করা অসম্ভব। যে কেউ সুরা ইখলাসের আমল করবে আল্লাহ তাআলা তাকে সফলকাম করবেনই করবেন। তবে আপনার হাজত অবশ্যই নেক হাজত হতে হবে।


২১ দিনের আমল

ফজরের নামাজের পর ঐ জায়নামাজে বসা অবস্থাতেই প্রথমে ৩ বার দরুদশরীফ পাঠ করতে হবে। তারপর, সুরা ওয়াকিয়া ১ বার পাঠ করতে হবে। এরপর, বিসমিল্লাহসহ ১০০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করতে হবে। আপনি যদি ১০০ বার পাঠে অক্ষম হন তা’হলে বিসমিল্লাহসহ ৩৩ বার সুরা ইখলাস পাঠ করবেন। সুরা ইখলাস পাঠ করা শেষ হলে ১০০ বার “ইয়া ওয়াহাবু” পাঠ করবেন এবং ৩ বার দরুদশরীফ পাঠের মাধ্যমে প্রথম দিনের আমল শেষ হবে। আমল শেষে আপনার হাজত পূরণের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন। আশা করা যায় প্রথম দিন থেকেই আপনি গায়েবী সাহায্য পাওয়া শুরু করবেন। এই নিয়মে মোট ২১ দিন আমল করুন। আপনার হাজত পূরণ হবে ইন্শাআল্লাহ। 


১ দিনের আমল

১ দিনের আমলে আপনাকে সুরা ইখলাস মোট ১০০১ বার পাঠ করতে হবে। আপনি যদি ১দিনে এই আমল করতে চান তা’হলে শুক্রবার এশা’র নামাজের পর অথবা তাহাজ্জুদ নামাজের পর এই আমল করুন। যদি সম্ভব হয় আপনার পোষাকে আতর মেখে নিন। কাবা শরীফের দিকে মুখ করে বসুন এবং প্রথমে ১১ বার দরুদশরীফ পাঠ করুন। তারপর সুরা ইখলাস পাঠ শুরু করুন। আপনি চাইলে প্রতিবার বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম পাঠ করে সুরা ইখলাস পাঠ করতে পারেন অথবা শুধুমাত্র প্রথমবার বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম পাঠ করেও সুরা ইখলাস পাঠ করতে পারেন। 

আপনি যদি সুরা ইখলাসের এই আমল একদিনে শেষ করতে না পারেন তবে তিন দিনে এই আমল করতে পারবেন। এর জন্য বুধ, বৃহস্পতি, শুক্রবার এশা’র নামাজের পর অথবা তাহাজ্জুদ নামাজের পর এই আমল করতে পারেন। সুরা ইখলাস মোট ১০০১ বার পাঠ করা শেষ হলে পুনরায় ১১ বার দরুদশরীফ পাঠ করুন এবং আপনার হাজত পূরণের জন্য দুই হাত তুলে কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে দোয়া করুন।

আপনার হাজত যদি ২১ দিন বা ১ দিনের মধ্যে পূরণ না হয় তা’হলে মোটেও চিন্তিত হবেন না। কিছুদিন অপেক্ষা করুন। আল্লাহ তাআলা নিশ্চয়ই আপনার মনের হাজত পূরণ করবেন। তবে মনে রাখবেন যে কোন হাজত পূরণের মূল হলো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা। আপনি যদি শুধু আমল করেন আর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় না করেন তবে আপনার হাজত পূরণ হবার কোন সম্ভাবনাই নেই। 

Search Tags:
=========
সুরা ইখলাস ওজিফা
সুরা ইখলাসের ফজিলত
সুরা এখলাস ১১, ১২, ৪১ বার পড়ার মুজেজা
Sura Ikhlas ১১, ১২, ৪১ বার পড়ার মুজেযা
Qurani powerful wazifa
Bangla Dua Amol Wazifa
Surah Ikhlas 1001 Times Wazifa
Surah Ikhlas Wazifa For Love Marriage
Powerful Wazifa 

0 Comments: