Headlines
Loading...
Amal Before Bed | ঘুমানোর আগে দুআ এবং তিলাওয়াত

Amal Before Bed | ঘুমানোর আগে দুআ এবং তিলাওয়াত

If you are searching for best duas before sleeping at night or What to recite before bed then this is the right article for you. Anyone who  wants to be a best Muslim then he should recite 10 Ayat from the Holy Quran before bed.

আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাকে সৃষ্টি করেছেন শুধু তাঁরই ইবাদত করার জন্য। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাঁরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন না। অথচ পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ৮২ বার নামাজের কথা বলেছেন। আমাদের মৃত্যুর পর কবরে যে বিষয়ে প্রথম হিসাব হবে তা হলো নামাজের হিসাব। আমরা চাইলেই সামান্য কিছু আমল এবং নিয়ম পালন করে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হিসাবে গণ্য হতে পারি এবং আমাদের আমল নামায় ২৪ ঘন্টা ইবাদতের সওয়াব যোগ করতে পারি।

আপনি আমি যদি জামাতে এশা’র নামাজ আদায় করি তাহলে আল্লাহ তাআলা আমাদের আমল নামায় অর্ধেক রাত দাঁড়িয়ে থেকে ইবাদত করার সওয়াব লিখে দেন। আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, আপনি যখন ঘুমরত অবস্থায় থাকেন তখনও কি আপনার আমল নামায় সওয়াব লেখা হয়? উত্তর হলো ”হ্যাঁ”। আপনি যখন যখন ঘুমরত অবস্থায় থাকবেন তখনও আপনার আমল নামায় সওয়াব লেখা হতে থাকবে যদি আপনি কুরআন এবং নবীর সুন্নাত পালন করে ইবাদত করে থাকেন। যেমন ঘুমাতে যাবার আগে অজু করে নিন। তারপর, সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক, সুরা নাস পাঠ করে দুই হাতের তালুতে ফুঁক দিয়ে সমস্ত শরীর মুছে নিন। যদি সম্ভব হয় সুরা তাকাসুর এবং আয়াতুল কুরসি পাঠ করে নিন। তারপর, ঘুমের দোয়া পাঠ করে ঘুমিয়ে যান। 

আপনি এশা’র নামাজ জামাতে পড়ার কারণে আপনার আমল নামায় অর্ধেক রাত দাঁড়িয়ে থেকে ইবাদত করার সওয়াব লেখা হবে। সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক, সুরা নাস পাঠ করার কারণে আপনি সারারাত যাদু-টোনা, বান অশরীরী আত্তা বা জীন, ভূত-প্রেত ইত্যাদির আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবেন। আয়াতুল কুরসি পাঠ করার কারণে আল্লাহ তাআলা সারারাত আপনার হেফাজতের জন্য একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করবেন। সুরা তাকাসুর (১০২ তম সুরা) পাঠ করার কারণে আল্লাহ তাআলা আপনার আমল নামায় ১০০০ আয়াত পাঠ করার সওয়াব লিখে দিবেন। যে ব্যক্তি রাতের বেলায় ঘুমানোর আগে কুরআনুল কারিম থেকে ১০টি আয়াত তেলাওয়াত করে ঐ ব্যক্তির নামকে আল্লাহ তাআলা গাফেলদের খাতায় লেখেন না। আপনি যদি সুরা ফাতিহা এবং সুরা ইখলাস পাঠ করেন তাহলে মোট ১১ আয়াত পাঠ করা হয়ে যাবে আর আপনি গাফেলদের তালিকা থেকে মুক্ত হয়ে যাবেন। দুনিয়ার কর্ম-ব্যস্ততা আপনাকে কখনই ছাড়বেনা যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি মৃত্যু বরণ করছেন। তাই শত ব্যস্ততার মধ্যেই আপনাকে ভালো কাজ করতে হবে। 

প্রত্যেক রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনি আল্লাহর কাছে এই ওয়াদা করে ঘুমান যে, আপনি আর কোনদিন কারো গীবত করবেন না, আর কোন গুনাহ করবেন না, আর যা কিছু আল্লাহ তাআলা পছন্দ করেন না, আল্লাহর নবী পছন্দ করেন না সেটা আর কখনও করবেন না। আর হালাল রজী ভক্ষণ করুন। এটাই ইবাদত। 

হযরত ফুজালা ইবনে উবাইদ (রাঃ) এবং তামীম আদ দারি এই দুইজন সাহাবী হাদিসটি বর্ণনা করেছেন। রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- যে ব্যক্তি রাতের বেলায় কুরআনুল কারিম থেকে ১০টি আয়াত তেলাওয়াত করবে তার নাম গাফেলদের খাতায় লেখা হবে না। তার জন্য লেখা হয় এক কিনতার। কিনতার একটি পরিভাষা। এক কিনতার হলো বারো হাজার উকিয়ার সমান আর উকিয়া হলো আসমান ও জমিনের মাঝখানে যা কিছু আছে তার চাইতেও উত্তম কিছু। হযরত হুরায়রা আরেকটি হাদিস এনেছেন। নবী করিম (সাঃ) বলেছেন-“তোমাদের ঘরকে কবর বানিও না” অর্থ্যাৎ যার অন্তরে কুরআনের কিছুই নাই তাহলো “বিরান বাড়ী’র মতো”।

কুরআন তিলাওয়াতের ফজিলত এত বেশী যে, হযরত আবুজর গিফারী (রাঃ) তিনি বলছেন, নবী করিম (সাঃ) আমাকে বলতেছেন, হে আবুজর!, কুরাআন তিলাওয়াতকে নিজের জন্য জরুরী মনে করো। অর্থ্যাৎ কুরআন তিলাওয়াতকে তোমার জন্য আবশ্যক করে নাও, বাধ্যতামূলক করে নাও। যদি কুরআন তিলাওয়াতকে আবশ্যক করে নিতে পারো তবে এটা আসমানে তোমার আলোচনার বিষয় হবে। অর্থ্যাৎ আল্লাহ তাআলা তোমাকে নিয়ে আলোচনা করবেন এবং জমিনে এটা তোমার জন্য নূর হবে এবং কিয়ামতের দিন তোমার জন্য মুক্তির কারণ হয়ে যাবে। তাই আসুন প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে অজু করি এবং কমকরে হলেও কুরআনুল কারিম থেকে ১০টি আয়াত তিলাওয়াত করি। সম্ভব হলে সুরা তাকাসুর, আয়াতুল কুরসি, সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক, সুরা নাস পাঠ করি এবং ডান কাত হয়ে ঘুমের দোয়া “আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহ্ইয়া” (অর্থ্যাৎ “হে আল্লাহ! তোমার নামে শয়ন করছি এবং তোমারই দয়ায় আমি পুনরায় জাগ্রত হবো) পাঠ করে ঘুমিয়ে যাই। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে আমল করার তৌফিক দান করুন। আমীন।

0 Comments: