Headlines
Loading...
সূরা কাফিরুন | Surah Kafirun with Bangla English Arabic

সূরা কাফিরুন | Surah Kafirun with Bangla English Arabic

بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ

Bismillah hir rahman nir raheem
In the name of Allah, the Entirely Merciful, the Especially Merciful

قُلۡ يَـٰٓأَيُّهَا ٱلۡكَٰفِرُونَ
Qul yaaa-ayyuhal kaafiroon
Meaning of the Ayat: Say, “O disbelievers,
বাংলা উচাচারণঃ ক্কুল ইয়া আইয়ুহাল কা-ফিরূণ
বালা অর্থঃ বলুন, হে কাফেরকূল,

لَآ أَعۡبُدُ مَا تَعۡبُدُونَ
Laaa a’budu maa t’abudoon
Meaning of the Ayat: I do not worship what you worship.
বাংলা উচাচারণঃ লা আ‘বুদু মা তা‘বুদূন
বালা অর্থঃ আমি ইবাদত করি না, তোমরা যার ইবাদত কর। 

وَلَآ أَنتُمۡ عَٰبِدُونَ مَآ أَعۡبُدُ
Wa laaa antum ‘aabiduuna maaa a’bud
Meaning of the Ayat: Nor are you worshippers of what I worship.
বাংলা উচাচারণঃ ওয়া লা আনতুম ‘আ-বিদূনা মা আ‘বুদ
বালা অর্থঃ এবং তোমরাও তাঁর ইবাদতকারী নও, যার ইবাদত আমি করি।

وَلَآ أَنَا۠ عَابِدٞ مَّا عَبَدتُّمۡ
Wa laaa ana ‘abidum maa ‘abattoom
Meaning of the Ayat: Nor will I be a worshipper of what you worship.
বাংলা উচাচারণঃ ওয়া লা আনা ‘আ-বিদুম মা ‘আবাদতুম
বালা অর্থঃ আর আমি ইবাদতকারী নই, যার ইবাদত তোমরা কর।

وَلَآ أَنتُمۡ عَٰبِدُونَ مَآ أَعۡبُدُ
Wa laaa antum ‘aabidoona maaa a’bud
Meaning of the Ayat: Nor will you be worshippers of what I worship.
বাংলা উচাচারণঃ ওয়া লা আনতুম ‘আ-বিদূনা মা আ‘বুদ 
বালা অর্থঃ এবং তোমরাও তাঁর ইবাদতকারী নও, যার ইবাদত আমি করি।

لَكُمۡ دِينُكُمۡ وَلِيَ دِينِ
Lakum deenukoom wa liya deen
Meaning of the Ayat: For you is your religion, and for me is my religion.”
বাংলা উচাচারণঃ  লাকুম দীনুকুম ওয়া লিয়া দীন ।
বালা অর্থঃ তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে।

সুরা আল-কাফিরুন পবিত্র আল কুরআনের ১০৯তম সুরা। এই সুরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছিল। ইসলাম শুরুর দিকে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) মক্কার মুশরিক উপজাতিদের কাছ থেকে ব্যাপক বিরোধিতার সম্মুখিন হন। এই উত্তাল সময়ে সুরা আল-কাফিরুন অবতীর্ণ হয়। ছয়টি আয়াত নিয়ে গঠিত এই সুরাটি ইসলামী শিক্ষায় তাৎপর্যপূর্ণ গুরুত্ব বহন করে এবং একঈশ্বরবাদ ও ধর্মীয় সহনশীলতার গভীর বার্তা বহন করে। 

মূল কাহিনীঃ 

একদিন কুরাইশের কাফেররা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কাছে এসে একটি চুক্তির প্রস্তাব দেয়, এবং চুক্তিটি ছিল যে তারা শুধুমাত্র এক বছরের জন্য আল্লাহকে তাদের ঈশ্বর হিসাবে গ্রহণ করবে এবং পরের বছর মুহাম্মদ (সাঃ) তাদের মূর্তিগুলিকে এক বছরের জন্য ঈশ্বর হিসাবে গ্রহণ করতে হবে। কুরাইশ কাফেরদের বিশ্বাস ছিল যে নবী মুহাম্মদ এই প্রস্তাবে সন্তষ্ট হবেন। যাইহোক, নবী মুহাম্মদ তাদের এই কৌশলী প্রস্তাবে আপোষ করেননি। এমতাবস্থায় মুমিন ও কাফেরদের মধ্যে মৌলিক পার্থক্যের ঘোষনা হিসাবে নবী মুহাম্মদের কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে এই সুরা অবতীর্ণ হয়েছিল।

সূরাটি শুরু হয়েছে এই শব্দ দিয়ে, বলুন, “হে কাফেরকূল, আমি ইবাদত করি না, তোমরা যার ইবাদত কর। এবং তোমরাও তাঁর ইবাদতকারী নও, যার ইবাদত আমি করি। আর আমি ইবাদতকারী নই, যার ইবাদত তোমরা কর। এবং তোমরাও তাঁর ইবাদতকারী নও, যার ইবাদত আমি করি। তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে।”

এই আয়াতগুলো একটি সুস্পষ্ট বক্তব্য হিসেবে কাজ করে যে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এবং মুমিনরা আল্লাহর একত্ববাদে তাদের বিশ্বাসের সাথে কখনই আপস করবে না। এটি জোর দেয় যে ইসলামের বাণীতে শিরক, মূর্তি পূজা বা অন্য কোন প্রকার অবিশ্বাসের কোন অবকাশ নেই। প্রতিটি ব্যক্তি তাদের নিজস্ব বিশ্বাস এবং ধর্মের অধিকারী, এবং বিশ্বাসীরা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সূরা আল-কাফিরুন ধর্মীয় সহনশীলতার ইসলামী নীতির একটি শক্তিশালী অনুস্মারক। এটি মুসলমানদের অন্যের বিশ্বাসকে সম্মান করতে শেখায়। এটি এই ধারণা প্রতিষ্ঠা করে যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান সম্ভব, যতক্ষণ পর্যন্ত পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং বোঝাপড়া থাকবে। মুসলমানদেরকে জবরদস্তি বা বলপ্রয়োগের অবলম্বন না করে জ্ঞান ও ধৈর্যের সাথে ইসলামের বার্তা পৌঁছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

এই সূরার মাধ্যমে কাফেররা মুহাম্মাদ (সাঃ) এবং মুমিনদের অটল বিশ্বাসের সাথে মুখোমুখি হয়েছিল। এটা মুসলমানদের অদম্য প্রতিশ্রুতির প্রমাণ হিসাবে দাঁড়িয়েছে একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করার জন্য, তারা যে বিরোধিতাই করুক না কেন।

সূরা আল-কাফিরুন আয়াতগুলি ইসলামকে প্রত্যাখ্যানকারী লোকদের প্রতি যথাযথ আচরণ এবং সঠিক মনোভাব সম্পর্কে নির্দেশনা দেয়। সূরা আল-কাফিরুন ইসলামের মূল নীতিগুলির একটি নিরন্তর অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে। এটি বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের মূল্যবোধগুলিকে সমুন্নত রাখতে এবং বিভিন্ন বিশ্বাসের মানুষের সাথে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।

0 Comments: